ব্লগারের পরিচয়

My photo
কোলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ, India

Wednesday, 8 August 2007

মাটির ময়না


গত ৩১ -এ জুলাই কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে 'মাটির ময়না' চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছে। ভারতে এই ছায়াছবিটির বাণিজ্যিক মুক্তিলাভের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৪২ বছর পর দুই দেশে চলচ্চিত্র বিনিময়ের শুভ সূচনা ঘটল।
পাকিস্তানের উপনিবেশিকতার জের ধরে দীর্ঘদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলচ্চিত্রের আদান-প্রদান বন্ধ ছিল। কিন্তু এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। বাংলাদেশের চলচিত্র ভারতে প্রদর্শণের আইনগত কোনো বাধা নেই।
অজ্ঞতা ও রাজনৈতিক কারণেই এতদিন দুই দেশের মধ্যে ছবির আদান-প্রদান হয়নি। আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত 'মাটির ময়না'র কলকাতায় মুক্তি লাভের মধ্যদিয়ে দুই বাংলার মানুষ সাংস্কৃতিকভাবে আরো কাছাকাছি আসবে, সুস্থ ধারার ছায়াছবির জোয়ার সৃষ্টি হবে, আশা করা যায়।

আজ আমি ও আমার বন্ধু হাবিবুর নন্দন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে 'মাটির ময়না' চলচ্চিত্রটি দেখে এলাম। বেশ ভাল লাগল। তবে আমরা সাধারণত আড়াই/তিন ঘন্টার ছায়াছবি দেখতে অভ্যস্ত তাই স্বল্প দৈর্ঘ্যের (মাত্র দেড় ঘন্টা) এই চলচ্চিত্রটি দেখে যেন মন ভরলো না।

বাংলাদেশে এই ছায়াছবিটি হয়ত অনেকেই দেখেছেন, তাই নতুন করে এর পটভূমিকা আর বললাম না। ছবিটি দেখে আমার মনে হল যে এর গল্পকার তথা নির্দেশক/পরিচালক, তারেক মাসুদ এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছেন যে - আমরা বাঙ্গালিরা আত্মপরিচয়ের অভাবে (identity crisis) ভুগি। বুঝি না যে আমাদের প্রধান পরিচয় কী? আমরা আগে হিন্দু বা মুসলমান না আগে বাঙ্গালি। আমাদের সবার মনে রাখা দরকার যে আমরা আগে বাঙ্গালি। বাঙ্গালিত্ব হচ্ছে আমাদের আত্মপরিচয়। সোনার পাথরবাটি বলে কিছু হয় না। হয় সোনার বাটি কিম্বা পাথরের বাটি। সেইরকম হিন্দু সৌভ্রাতৃত্ব বা মুসলমান সৌভ্রাতৃত্বও কাল্পনিক বস্তু। বাঙ্গালি সৌভ্রাতৃত্বই হল আসল।

এই চলচ্চিত্রটি দেখে আমার একটাই কথা মনে হল - আর কত দিন? আর কত দিন আমরা পরস্পর ভেদাভেদ করবো? একে অপরকে ঘৃণা করবো? তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবো?


নন্দন ১ প্রেক্ষাগৃহে মাটির ময়নার বিজ্ঞাপন দেওয়াল চিত্র



নন্দন প্রেক্ষাগৃহের সামনে আমি (২)




নন্দন প্রেক্ষাগৃহের সামনে হবিবুর রহমান (আমার বন্ধু)




Best viewed by AdorshoLipi font. If not installed in your system, then download and paste the font file in [Fonts] folder. Go to Control Panel, Switch to Classic View (if Control Panel is in Category View, otherwise skip this step)*, right click on Fonts folder and paste.

* Applicable for M.S. Windows XP

No comments:

Blog Archive